নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ দেশের বিভিন্ন জেলার সাথে তাল মিলিয়ে সোনারগাঁ উপজেলার বাড়ছে ধর্ষণের ঘটনা। গত এক মাসে সোনারগাঁ থানায় ৫টি ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে জোড়পূর্বক ধর্ষনের চেয়ে বিয়ের প্রলোভনেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে বেশী। হঠাৎ করে সোনারগাঁয়ে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় উদ্ধেগ প্রকাশ করেছে সুশীল সমাজের লোকজন।
সূত্র জানায়, গত ১১ জুন তারিখ থেকে সোনারগাঁ থানার এ পর্যন্ত ৫টি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নারীরা ও তার স্বজনরা। এসব মামলার মধ্যে গত ১১ জুন রাতে মেঘনা টু ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহি বাসে এক তরুনীকে জোড়পূর্বক ধর্ষণের চেষ্ঠা শামীম নামের বাস চালক। এ ঘটনায় জনতা ওই বাস চালককে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। এ ঘটনায় ওই নারী বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গত ১৯ জুন তারিখ একটি ধর্ষনের মামলা করেন এক চাকরীজীবি নারী। সে মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, বিয়ের প্রলোভনে ৭ বছর ধরে তাকে ধর্ষণ করে আসছেন উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের হোলদাবাড়ি গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে মোজাফ্ফর। এখন তাকে বিয়ে না করায় তিনি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। গত মাসের ২৩ তারিখে সনমান্দিতে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে তার চাচাতো ভাইসহ ২ জন। এ ঘটনায় ওই নারী সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ওই নারী উল্লেখ করেন, ধর্ষণের দিন রাতে ওই নারী রাত ৯টার দিকে তার প্রবাসী স্বামীর সাথে কথা বলতে বলতে ঘরের বাহিরে চলে আসেন। এসময় আগে থেকে ওৎপেতে থাকা তার চাচাতো ভাই সালাউদ্দিন ও প্রতিবেশী আনোয়ার ওই নারীকে মুখে গামছা পেচিয়ে জোড়পূর্বক বাড়ীর পাশে একটি ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে তারা তাকে ধর্ষণ করে। পরে ওই নারীর মা তার মেয়েকে খুজঁতে বাড়ীর পাশে গেলে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ এক ধর্ষককে আটক করে। চলতি মাসের ২ জুলাই একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন এক জামদানি কর্মির বাবা। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, তার সাথে একই কাজ কাজ করার সুবাদে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে কাঁচপুর ইউপির পূর্ব বেহাকৈল এলাকার আঃ রহমানের ভাড়াটিয়া জসিমউদ্দিনের। এর জের ধরে জসিমউদ্দিন তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এখন জামদানি কর্মীকে বিয়ে না করায় তার বাবা বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গত ১৩ জুলাই এক কিশোরীর পিতা বাদি হয়ে একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। মামলায় ওই কিশোরীর পিতা উল্লেখ করেন, ধর্ষক রবি তার আত্মীয়। সেই সুবাদে রবি ও তার পরিবার তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। সে সুযোগে ধর্ষক রবি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার মেয়েকে ৭/৮ মাস ধরে ধর্ষণ করে আসছে। ধর্ষণের ফলে ওই কিশোরী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এখন ধর্ষক রবিকে বিয়ের কথা বলায় সে তালবাহানা শুরু করে। এ ঘটনায় স্থানীরা শালিশ মিমাংসা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে ওই কিশোরীর পিতা বাদিহয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামাননজানান, সোনারগাঁয়ে কোন ধর্ষণের অভিযোগ আসলে আমরা তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহন করি। গত এক মাসে আমরা ৫টি ধর্ষণের মামলা নিয়েছি এবং বেশ ক’জন ধর্ষককে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছি।